সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেন, ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালু করা হয়েছে। মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালু করতে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে, যেহেতু আমরা অন্যান্য স্টেশনগুলি থেকে অনেকগুলি অংশ নিয়ে এসেছি এবং সেগুলি এখানে যুক্ত করেছি, এই সমস্ত অংশের আমদানি সহ আমাদের দুটি স্টেশনের মোট ব্যয় হবে 18 কোটি 85 লক্ষ টাকা। এছাড়াও আরও অংশ থাকবে।

স্থানীয় এবং বিদেশী মেট্রোরেল সম্পর্কিত বাংলাদেশি লোকদের মেট্রোরেল পোস্টের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে রোড অ্যাডভাইজার বলেছিলেন, আমাদের এখানে মেট্রোরেইলে একটি ধারা ছিল যেখানে প্রাক্তন বুরিয়াক্রেট ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় না। আমরা এখন তা ফেলে দিয়েছি। এখন আমরা বাংলাদেশ থেকে এমন কাউকে নিয়োগ দিতে চাই যিনি দেশে ও বিদেশে মেট্রোরেল সম্পর্কিত। আমরা এর জন্য উন্মুক্ত আবেদন আমন্ত্রণ জানাই।

ফওজুল কবির খান বলেন, আমরা এর জন্য সরকারের কাছে আলাদা কোনো টাকা চাইব না। মেট্রোরেলের জন্য আমাদের যে টাকা আছে তা থেকে আমরা এটি ব্যয় করব।

মেট্রোরেল ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা কেউ করেনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি।

লক্ষণীয় যে, ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ও জনসাধারণের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়, মিরপুর -১০ রাউন্ডআউটে পুলিশ বাক্সে আগুন লেগেছিল। ওইদিন বিকেল ৫টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। ২০ শে জুলাই, ডিএমটিসিএল-এর তত্কালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম্যান সিদ্দিক সাইটটি পরিদর্শন করে বলেছিলেন, ‘দুটি ক্ষতিগ্রস্থ স্টেশনগুলি মেরামত ও পুনরায় খুলতে এক বছর সময় নিতে পারে।

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *