আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। 53 বছরের মধ্যে 29টি এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এদেশের মানুষ শোষিত ও বঞ্চিত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন বলিষ্ঠ নেতার পক্ষেই সম্ভব সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা, মুক্তিযুদ্ধ করা এবং স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। একজন মেজরের বাঁশিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পড়ায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। কারণ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেতনভোগী কর্মচারী ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর গুলি চালান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ভারতের বিরোধিতা করে চাদর পোড়ায়। তাহলে বিএনপি নেতাদের বউদের শাড়ি পোড়ানো হচ্ছে না কেন?
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে কারা যুদ্ধ করেছিল? সরকার গঠন ও খাত গঠনের দায়িত্ব কার ছিল? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেতনভোগী কর্মচারী ছিলেন।