বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আবদুল মঈন খান বলেন, “সরকারের মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। গত ৭ জানুয়ারি জনগণ ভোট বর্জন করে প্রমাণ করেছে যে তারা সরকারের সঙ্গে নেই। জনগণ সরকারের সঙ্গে না থাকায় সরকারের পতন হবে। যে কোন মুহূর্তে কার্ডের ঘর।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ‘নতুন বাংলাদেশে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রদর্শন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
মঈন খান বলেন, বন্দুকের শক্তি মানবিক ঐক্য ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না। তাই আমি সরকারকে বলবো, গণতন্ত্রের পথে আসুন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিন। অন্যথায় ফলাফল ভালো হবে না। গুলি, বন্দুক, টিয়ারগ্যাস দিয়ে মানুষকে পরাজিত করা যায়, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা নয়। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, বিশ্বের সব গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবু তাসের ঘরের মতো কবে ভেঙে পড়বে তা সরকার বুঝতে পারছে না।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে না। তারা একদলীয় সরকার ও লগি-বৈঠার রাজনীতি করে। দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা কুক্ষিগত করেছে। সংবিধানের কথা বলে তারা প্রতারণা করছে। উন্নয়নের সাথে মানুষের মন ভুলা যায় না।

মোরশেদ হাসান খানের সঞ্চালনায় সভাটি তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. ইউটিএবি-এর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ইউটিএবি-এর সহ-সভাপতি একেএম মতিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়কারী ড.তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, অধ্যাপক আতাউর রহমান প্রমুখ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামশেদ প্রমুখ।

মঈন খান

মঈন খান মঈন খান মঈন খান

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *