ভারতীয় পণ্য বয়কট আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বুধবার বিকেলে দনিয়া কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যে ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছিল, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করেছিল, বিএনপি-জামায়াত এখন তাদের বিরোধিতা করছে। বিদেশী শক্তির প্ররোচনায় ও প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নেওয়া হলেও এই আন্দোলনের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কারণ, দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করতে হবে বিলাসিতা নয়, বেঁচে থাকার জন্য। ভারতীয় পণ্য বয়কট উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তার প্রতিফলন। তাই বলছি নতুন প্রজন্মকে এসব অপপ্রচার ও অপপ্রচারকে প্রতিহত করতে হবে।
পরশ বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন। এর একটি প্রধান উদাহরণ হল সর্বজনীন পেনশন পরিকল্পনা। এই প্রকল্পের আওতায় সরকারি কর্মচারী ছাড়া দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন। এখন 18 বছরের বেশি বয়স হলেই কেউ এতে নিবন্ধন করতে পারবেন। যাদের চাকরি নেই তাদের জন্য এই ব্যবস্থা। প্রায় 10 কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে ইউনিভার্সাল পেনশন সিস্টেম (স্কিম) চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর পেছনে তাকালে দেখা যাবে বিএনপির আমলে কী উল্টো ও করুণ অবস্থা ছিল। আপনার আয় কত ছিল? শিক্ষার সুযোগ কি ছিল? চিকিত্সা বিকল্প কি ছিল? কে আপনার বাসস্থান যত্ন নিচ্ছে? জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের লক্ষ্য অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। প্রত্যেকেরই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে; কাউকে আটকানোর প্রশ্নই আসে না। বিভিন্ন প্রার্থীর অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বৈধ নির্বাচন হবে না। যুবলীগ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চায় না। বিশৃঙ্খলা ও হাঙ্গামা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে হবে এবং সংঘাত সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে। যুবলীগের কেউ নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাতে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচএম রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এনআই আহমেদ সৈকত, কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম আরিফ হোসেন, মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, হারুন অর রশিদ, সৈয়দ আহমেদ, মাহবুবুর রহমান পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম মো. খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক এরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও যুবলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।