বিশ্ব ইজতেমায় মিডিয়া সেলের প্রধান ড. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইজতেমা ময়দানে নিহত ৪ মুসল্লি হলেন, ভোলা জেলার ভোলা গ্রামের নজির আহমদের ছেলে শাহ আলম (৬০), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), এখলাস মিয়া (৬৮) ছেলে মো. একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের সাঁকদুগিয়া গ্রামের আবদুস ছোবাহান, জামালপুর জেলার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০) তুলশীপুর এলাকা।

ময়দানে আসার সময় নিহত ৩ জন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউড়া গ্রামের ইউনুচ মিয়া (৬০)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌদ্দি টোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও হাসান উজ্জামান (৩০) নামে এক পুলিশ সদস্য ইজতেমায় যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় মারা গেছেন।

একই দুর্ঘটনায় আহত এসআই আমির হামজাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। তারা দুজনই মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ থেকে ইজতেমায় ডিউটি করতে এসেছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ইব্রাহিম খান পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশের তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা দুই দিন আগে থেকেই টঙ্গীরের তুরাগ তীরে আসছেন। দলে দলে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপে করে তারা আসছেন ইজতেমায়। শুক্রবার ফজরের পর পাকিস্তানের মাওলানা আহমাদ বাটলারের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার মূল অনুষ্ঠান।

তাবলিগ জামাতের এই বার্ষিক মাহফিল আগের মতোই দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি চারদিনের ব্যবধানে।

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *