নির্বাচনী সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। রাজনীতি ও গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনা নিহতদের পরিবার, আহত এবং আমেরিকান জনগণের সাথে।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, “এটি অস্ট্রেলিয়ান ও আমেরিকানদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার ওপর অমার্জনীয় আক্রমণ। এই মূল্যবোধগুলোই আমাদের দুই দেশকে একত্রিত করে।”
তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি লাই চিং-তাই বলেছেন, “আমার চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে রয়েছে এবং আমি তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। গণতন্ত্রে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। হামলায় নিহতদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “আমি পেনসিলভেনিয়ার এক সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গুলি চালানোর কথা জেনে হতবাক হয়েছি। এই ধরনের সহিংসতার কোন যৌক্তিকতা নেই এবং বিশ্বের কোথাও কোন স্থান নেই। সহিংসতা কখনো জয়ী হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন নিরাপদে আছেন জেনে আমি স্বস্তি পেয়েছি। এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, “এইমাত্র জানতে পেরেছি – প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাচনী সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। রাজনীতিতে সমস্ত সহিংসতার নিন্দা এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।”
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, “আমি এটা শুনে খুবই স্বস্তি পেয়েছি যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হত্যার চেষ্টার পর এখন নিরাপদে আছেন। আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনা তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সাথে রয়েছে। বিশ্বের সকল গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের সাথে আমরা সকল প্রকার রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাই। জনগণের কণ্ঠ সর্বদা জয়ী হতে হবে।”
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের পেনসিলভানিয়া সমাবেশ দেখে আমি হতবাক।” আমার ভাবনা সাবেক রাষ্ট্রপতি, তার পরিবার এবং এই হামলার শিকারদের সাথে। এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কোনো দেশেই কাম্য নয়।”