দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থ পাচারের পরিমাণ প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলার। ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কত টাকা পাচার হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই।
শনিবার বিকেলে ‘ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম‘ ও ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল। যে দেশে অর্থ পাচার হয়েছে সে দেশের সঙ্গে আইনি চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে টাকা ফেরত আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। মানি লন্ডারিং এবং রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না।
তিনি বলেন, অর্থ পাচার রোধে রাষ্ট্রকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আগামী দুই বছরে যদি এক পয়সাও ফিরে আসে, সেটাও হবে অনেক বড় অর্জন।