সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের সার্কুলার পুনর্বহালের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। কোটা বাতিলের চার দফা দাবিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় অবরোধ করে।
এ সময় সদরঘাট, বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজার, তাঁতীবাজার, ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ী, নবাবপুর, বংশাল, গুলিস্তানসহ সব রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকে। শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব মোড় আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করে ক্যাম্পাসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের চতুর্থ দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের চার দফা দাবি না মানলে পুরো পুরান ঢাকা অচল করে দেব। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর কেন আমাদের কোটা আন্দোলন করতে হবে? এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাহলে কোটার বিরুদ্ধে আবার কেন লড়াই করতে হবে? কোনো দেশে সরকারি চাকরির জন্য ৫৬ শতাংশ কোটা থাকলে মেধাবীরা লড়বে মাত্র ৪৪ শতাংশের জন্য।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি, তবে সরকার চাইলে শুধু প্রতিবন্ধী কোটা রাখতে পারে। চার দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।