রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আজ সকাল থেকেই যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্টেশনে সময়সূচী বিঘ্নিত বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতে ট্রেন না বাড়ানো হলে বাড়তি কোচ যুক্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সোমবার সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশনে কড়া তল্লাশি চালিয়ে হাজার হাজার যাত্রীকে স্টেশনে ঢুকতে দেখা যায়। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলেও টিকিট ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে না পারায় যাত্রীরা সহজেই স্টেশনে প্রবেশ করে ট্রেনে উঠতে পারেন।
স্টেশনের ভেতরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীরা স্টেশনে বসে অপেক্ষা করছেন। ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের শিডিউল বিঘ্নিত না হওয়ায় যাত্রীদের কোনো অভিযোগ নেই।
সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ২০টি ট্রেন ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। আজ (সোমবার) ঢাকা অঞ্চলের তিনটি স্টেশন থেকে ৪২টি আন্তঃনগর, ২৫টি লোকাল-কমিউটার ট্রেন এবং ২টি বিশেষ ট্রেন ছাড়বে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ দু’টি ট্রেন কিছু সময়ের জন্য বিলম্বিত হলেও শিডিউল বিঘ্নিত বা ট্রেন বিলম্বের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে 20টি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ১০টায়, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস সিলেটের উদ্দেশে ছাড়বে সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্যে এবং নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে বিক্রি হয়েছে ৪ এপ্রিলের টিকিট ২৫ মার্চ এবং বিক্রি হয়েছে ৫ এপ্রিলের টিকিট ২৬ মার্চ। ঈদকে সামনে রেখে ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিল ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিল ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে।