পরীমনির মাদক মামলা চলবে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত বলেন, পরীমনির বাড়ি থেকে বরফ ও এলএসডি ওষুধ পাওয়া গেছে। বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। তবে তার বাড়িতে বিদেশি মদের প্রাপ্তি, মদের লাইসেন্স থাকা এবং মদের মধ্যে নিম্ন মাত্রার মদ থাকার বিষয়ে আদালত বলেছে, সেক্ষেত্রে মদ আটকের বিষয়টি বাদ দিতে হবে।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০ ফেব্রুয়ারি আজ দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। ৩১ আগস্ট পরীমনি জামিন পান। পরদিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
পরে মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন পরী। আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের মামলা কেন খারিজ করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত বছরের ১ মার্চ রুল জারি করেন তিনি। আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মোঃ কবির হাওলাদার জামিনে রয়েছেন।