ভারত একটি ভালো প্রতিবেশীর মতো আচরণ করেছে।আমাদের নির্বাচনের আগে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত ভালো প্রতিবেশীর মতো আচরণ করেছে। সেটা দরকার ছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এখানে অস্থিতিশীল বন্ধুর অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের কিছু বিরোধী দল বাইরের কিছু দেশের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাদের এখানে অস্থিতিশীল করতে চায়। নির্বাচনে কারচুপি করতে চেয়েছিল। সেই সময় ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা আমাদের মানতেই হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। আমি ভবিষ্যতে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার কোন কারণ দেখছি না।

সমসাময়িক ইস্যুতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জ, পাঁচ বছরে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা, ডলারের সংকট, রিজার্ভ সংকট, জ্বালানি সংকট। এসব সঙ্কট নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে সরকার কাজ করছে।

রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি হলে তা কাটিয়ে উঠতে হবে। তারা (বিএনপি) যদি এখানে সহিংসতা বা কোনো সহিংস কর্মসূচি দেয় বা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তাহলে আমাদের তা মোকাবেলা করতে হবে। আমরা ক্ষমতায় থাকায় জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে হবে।

সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, বিএনপির এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিএনপির সব স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন পর গতকাল হাজির হয়েছিলেন, তিনি এতদিন পলাতক ছিলেন। এতক্ষণ সে কোথায় পালাচ্ছিল তার কোনো উত্তর পাইনি।
আমাদের কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার সাহস রয়েছে। আমরা করেছি, আগামীতেও করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি তা আমরা পালন করব।

বিরোধী দল কারা হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখানে বিরোধী দলকে জাতীয় পার্টি বলা হয়। ওরা আগেও ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই অভিজ্ঞ।

মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে যাব। আমরা সংঘর্ষে যাব না।

ভারত একটি ভালো প্রতিবেশীর মতো আচরণ করেছে

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *