আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পাবে তারাই হবে প্রধান বিরোধী দল। আর ব্যক্তিরা ব্যক্তিবিশেষ। দল যদি বলে, তা হলে জাতীয় পার্টি।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব হারিয়ে এখন শোকের সাগরে ডুবে আছে। তারা এখন সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে এবং দেশে বিদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। গুজব সন্ত্রাস তাদের অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের উত্থান। আর বাংলাদেশে তারা বিষয়টিকে দুর্ভিক্ষের পাদপীঠ হিসেবে তুলে ধরছে। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সবুজ পাতায় শিশিরবিন্দু, তা সহজেই ঝরে পড়বে। সেটা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির গভীরে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি দেশবাসী। কথার বোমাবাজি দিয়ে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না। বিএনপির রাজনীতি ভুলের চূড়ায় আটকে আছে। তারা যতই সরকার পতনের কথা বলবে, ততই সরকার উঠবে। বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগোতেন, তাহলে হঠাৎ করে এভাবে পতন ঘটত না। সরকারকে নামাতে গিয়ে তারা নিজেরাই গর্তে পড়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পাবে তারাই হবে প্রধান বিরোধী দল। ব্যক্তি পৃথক। দল যদি বলে তাহলে জাতীয় পার্টি ড. আজ সন্ধ্যায় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে কি না তা নির্ধারণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বিরোধী দল
বিরোধী দল বিরোধী দল