টিআইবি Information: দেশে চলাচলকারী বাসের 18.9 শতাংশের নিবন্ধন নেই, 24 শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসে ট্যাক্স টোকেন নেই এবং ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।
রাস্তায় বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রতিটি বাসের জন্য নিবন্ধন এবং তিন ধরনের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ বাস শ্রমিক-কর্মচারীর মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ এক বা একাধিক সনদের ঘাটতি রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় সততা বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
টিআইবির গবেষক মুহা. নুরুজ্জামান ফরহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এবং তাদের মধ্যে 82 শতাংশের কোনও নিয়োগপত্র নেই, 69.3 শতাংশের নির্দিষ্ট মজুরি নেই।
যাত্রীসেবা সংক্রান্ত কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, জরিপে অংশ নেওয়া 75.8 শতাংশ যাত্রী, 48 শতাংশ শ্রমিক এবং 51.8 শতাংশ মালিক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে বাসের অতিরিক্ত গতিকে উল্লেখ করেছেন।
22.2 শতাংশ শ্রমিক/শ্রমিকদের মতে, চালকরা যানবাহন চালায় এবং কন্ডাক্টর/হেলপার/তত্ত্বাবধায়করা অ্যালকোহল বা মাদকের প্রভাবে বাসে দায়িত্ব পালন করে। সংস্থার মতে, শহর পরিষেবার ক্ষেত্রে এই হার 45.9 শতাংশ এবং আন্তঃজেলার ক্ষেত্রে 19.2 শতাংশ।
নির্দেশাবলীর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চালকরা চলন্ত বাসে ফোন ব্যবহার করেন। ফলে প্রাণহানির সঙ্গে দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানা গেছে।
তবে টিআইবির দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিআরটিএর তথ্য গড়ে।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী ৭ হাজার ৯০২ জন।