আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতিমধ্যে কিছু নতুন প্রাণ হারিয়েছে।
আমরা এটা স্পষ্ট করতে চাই যে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না। জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে। বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণে সবাইকে ধৈর্য ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমার বিশ্বাস, উচ্চ আদালত থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচার পাবে। তাদের হতাশ হওয়ার দরকার নেই। ‘
ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তির সৃষ্ট সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির কারণে অপ্রত্যাশিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছেন। সন্ত্রাস ও সহিংসতাবিরোধী কমিটি যখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণকে আশ্বস্ত করে, তখন পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয় এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তি এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। সারা দেশ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অনুরোধ করছি এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যে কোন অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। সেই সাথে রাজপথ থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাংগঠনিক নির্দেশনা দিচ্ছি।