ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে চলেছেন। রাষ্ট্রপতি যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন তার মধ্যে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের সমাপ্তি রয়েছে, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রাম্প ঠিক কোথায় যুদ্ধ থামাতে হবে তা উল্লেখ না করলেও ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে রিপাবলিকান নেতা ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে তা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণে বলেছিলেন, “আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না, আমি একটি যুদ্ধ থামাতে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, আমাদের (তার আগের শাসনামলে) কোনো যুদ্ধ হয়নি। চার বছর ধরে আইএসকে পরাজিত করা ছাড়া আমাদের কোনো যুদ্ধ হয়নি।
তার 2016-2020 মেয়াদে, ধনকুবের ব্যবসায়ী ছিলেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (অফিসে) যিনি উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সাথে দেখা করেছিলেন। সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক এক সম্মেলনে কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি।
এদিকে, এবারের নির্বাচনের ফলাফলের পর অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য বন্ধ করে দিতে পারেন।
এছাড়া পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ, একটি ট্রাম্পের বিজয় ইউক্রেন যুদ্ধের একটি বড় বাঁক চিহ্নিত করতে পারে।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপের দিকেও তাকিয়ে আছেন অনেকে। এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা যুদ্ধ থামাতে পারবেন। যদিও নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিনি যুদ্ধ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেন কি না, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।