বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর ও. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা লুকানোর কিছু নয়। আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল, আমি গ্রহণ করিনি।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচনের আগে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বলেছিলাম যারা অফার নিয়ে এসেছেন, তাদের বলেছি এই বয়সে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করতে পারব না। আমার কোনো রাজনৈতিক বিলাসিতা নেই। নির্বাচন কমিশনে কাউকে পাঠাইনি। বিএনপির অনেক এমপি যোগাযোগ করেছেন, আমি তাদের নিরুৎসাহিত করেছি। বিএনপিতে অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, আমি তালবাহানা করেছি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর প্রধান। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, দেশে নোংরা রাজনীতি চলছে। সরকারে যে দলই থাকুক না কেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া পার করার জন্য অনেক নোংরা খেলা হয়। রাজনীতিতে কোনো শর্টকাট নেই। সাধারণ মানুষকে ছাড়া রাজনীতি চলতে পারে না।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যারা যোগাযোগ করেছেন তাদের বলেছি ৩২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দল পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাই। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে বারবার প্রস্তাব দিয়ে আমার সাথে কিছু সামরিক কর্মী ছিলাম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মনে হয় সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে এ কাজ করেছে। গত সরকারে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। খেজুরের বদলে বরই খেতে বলিনি। এটাকে সিন্ডিকেট হতে দেইনি। বাবার দেওয়া বাড়িতে থাকি। আমার বিরুদ্ধে দুদকে কোনো অভিযোগ নেই।
আমি কি বিএনএমে যোগ দিয়েছি? তিনি প্রশ্ন করলেন, আমার কি দোষ? তার বিরুদ্ধে এমন কাজ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
দল ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কখনোই অসঙ্গত কথা বলেননি বলে জানান মেজর। হাফিজ।