ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ইসকন) এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন যে বহিষ্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কর্ম ও বক্তব্য সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত। ইসকন তাদের দায়িত্ব নেবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সম্পর্কে ভারতের মন্তব্য বা অবস্থানের সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চিন্ময় সম্পর্কে কোন দেশের কোন ব্যক্তি কি উদ্যোগ নিয়েছে বা কি বলেছে তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যাকাণ্ডে ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়ানোর জন্য মিথ্যাচার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ইসকন দায়ী নয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অনেক আগেই সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়, শিশুদের সঙ্গে খারাপ কাজ করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে।
গত ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ।
এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট শহরের নিউমার্কেট মোড়ে জিরো পয়েন্টে একটি স্তম্ভে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো রয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘি মাঠে এক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন। ওই দিন চন্দন কুমার ধরসহ বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের কাছে জিরো পয়েন্ট পিলারে ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের জাফরান রঙের ধর্মীয় পতাকা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করেন। এতে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মামলার পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিষয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের একটি বিবৃতি ইসকন প্রবর্তক ধামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি এই মামলাকে সনাতনীদের আট দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে পরিণত করার অপচেষ্টা বলে অভিহিত করেন।
বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, ৫ আগস্টের পর সনাতনীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলন বর্তমান সরকার বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।