ঘূর্ণিঝড় রিমালে খুলনায় ধান, পাট, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জেলার পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ উপজেলার বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে লোনা পানিতে জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

সবজি-ভান্ডার নামে পরিচিত ডুমরিয়া উপজেলায় সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তাসহ নানা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ৬৮ হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে।

এর মধ্যে ৬৩৯ দশমিক ১৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে এবং মোট ক্ষতি হয়েছে ৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

সবজি ফসল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ে মোট ৫৯৭ হেক্টর সবজি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৫০ হেক্টর পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

মোট ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৯৬ জন।

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার খলসি বুনিয়া গ্রামের পবিত্র রায় বলেন, ‘বৃষ্টিতে আমার সবজি ক্ষেতের ৪ শতাংশ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া আশপাশের তিল ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তিলের ক্ষেতে সামান্য পানিও জমে গেলে তিল বাঁচানো যায় না। আমাদের গ্রামের তিনটি খাল ভরাট এবং সেগুলো দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় না। যার কারণে আমাদের পাটের খামারও ডুবে গেছে।’

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে খুলনায় ১ হাজার ৬৮ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে আউশের বীজতলা, তিল, গোয়ালা, মরিচ, আদা, হলুদ, চীনাবাদাম, ভুট্টা, পেঁপে, কলা, সুপারি ও আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঢাকায় পাঠিয়েছি। তাদের প্রণোদনা দিয়ে সহায়তার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে,’ তিনি বলেন।

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *