কিশোরী পরিচারিকার মৃত্যু।মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান। পুলিশ তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ঢাকার মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাড়ির নবম তলা থেকে পড়ে ১৫ বছর বয়সী গৃহকর্মী প্রীতি উরং মারা যান। প্রীতির বাবা লোকেশ উরং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় আশফাকুল ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ (এ) ধারায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন।
আহত প্রীতিকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর সাংবাদিকের দুই সন্তানসহ পরিবারের চার সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরের দিন শিশু দুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মামলার জবানবন্দিতে লোকেশ উরাং বলেন, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বছর দুয়েক আগে প্রীতিকে ওই বাড়িতে কাজ করিয়েছিলেন তিনি। এই সময়ে তিনি তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি, বা বাড়ির মালিক পরিবারের সাথে তাকে যোগাযোগ করতেও দেননি। লোকেশ তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বাড়ির মালিকের সাথে মাঝে মাঝে ফোন কলের উপর নির্ভর করেছিলেন।
এর আগে গত বছরের ৬ আগস্ট সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন আরেক গৃহকর্মী ফেরদৌসি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আহত গৃহকর্মীর মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার ও আসমা আক্তার নামে অপর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কিশোরী পরিচারিকার মৃত্যু
কিশোরী পরিচারিকার মৃত্যু কিশোরী পরিচারিকার মৃত্যু