প্রধানমন্ত্রী বেলা আড়াইটার দিকে ঘি রঙের প্যাটার্ন ও পাড়ের জামদানি শাড়ি পরা বেগুনি আঁচল পরে সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার আগে তাকে ঘিরে জড়ো হন। তারা সবাই সংসদ নেতাকে অভিবাদন জানান।
হাতে-পায়ে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম দিতে দেখা যায় কয়েকজন এমপিকে। নির্বাচনের আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া শাহজাহান ওমরকে দেখা যায় দক্ষতা বিনিময় করতে। পরে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন।
সরকারি দলের সাংসদ ছাড়াও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে পা-হাত দিয়ে সালাম জানান। ভিড়ের কারণে যারা কাছে এসে সালাম দিতে পারেননি, তারা দূরে দাঁড়িয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনাকে সালাম করেন।
বেলা ৩টার দিকে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করলে এমপিরা নিজ নিজ আসনে চলে যান। এ সময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে নিজ নিজ আসনে যাওয়ার আহ্বান জানাতে দেখা গেছে।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২২৩টিতে ভোট পায়।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ১১টি আসন পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে ৬২টি আসনে। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পায়। স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি শপথ নেন সংসদ সদস্যরা। পরের দিন ১১ জানুয়ারি সরকার গঠন করা হয়।