খাদ্য অপচয়: জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, বাংলাদেশে ক্ষেত থেকে শুরু করে ভোক্তার পেটে পঁচিশ শতাংশ খাদ্যশস্য নষ্ট হয়। যার পরিমাণ বার্ষিক ১ কোটি ৬০ লাখ টন। সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবের কারণেই এই অবস্থা। তারা মনে করেন, অপচয় রোধ করতে পারলে ২০২১ সালের জন্য ১ কোটি মানুষের খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব।

রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে ফসল ফলায় কৃষকরা। এটি ভোক্তার পেটে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে। এ সময় ২৫ শতাংশ অখাদ্য হয়ে পড়ে। কোটি মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

FAO-এর মতে, ফসল কাটা, পরিবহন এবং ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সময় বছরে 1.6 মিলিয়ন টন অপচয় হয়। বিষয়টি নিয়ে পুষ্টিবিদ ড. মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সচেতনতার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে এত খাবার নষ্ট হয়। বাসা-বাড়ি, অফিস, স্কুল-কলেজে খাবারের একটা অংশ নষ্ট হয়ে যায়। পরিবহনের সময় অপচয় ঘটে। সুপারমার্কেটে, রান্নাঘরের বাজারে নষ্ট হয়। খাবারের অপচয় প্রায় প্রতিটি ধাপেই ঘটে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড.জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, অপচয় রোধে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও বিপুল পরিমাণ খাদ্য অপচয় হয়। তবে গ্রামাঞ্চলে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগির নষ্ট খাবার খেয়ে থাকে। তবে শহর এলাকার সব নষ্ট খাবার ডাস্টবিনে যায়। এটা কোন কাজে আসে না। তাই এ ব্যাপারে আমাদেরকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *