আ.লীগ নিজেকে নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। যাদের নিষিদ্ধ করা হবে, তারা নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বক্তব্য দেওয়ার কেউ নেই, স্লোগান দেওয়ার কেউ নেই।

রোববার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান নিষিদ্ধ সব রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগও দেন বাকশালী। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় নেতা। প্রথম নেতা ছিলেন আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

তিনি বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তারা বাহাত্তরে যে সংবিধান লিখেছে, তা কি তারা অনুসরণ করছে? চুরি, ডাকাতি, ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্বাচন- এগুলো কি সংবিধানে লেখা ছিল? তারাই ৭২ সালের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গত ৫২ বছরে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী কোনো দল নেই। শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত আইন মানেননি। এখন আইনের ভয়। ভয় না পেলে দেশ ছাড়তেন না।

জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের অভিবাদন জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ গড়ার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যা করা উচিত তা করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি আনে না। জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগও দেন বাকশালী। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় নেতা। প্রথম নেতা ছিলেন আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গত বিশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ৭ নভেম্বর যা প্রচার করছে তা ভয়াবহ ঘটনা। দেশবাসী সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। তাদের হৃদয়ে ছিল আওয়ামী লীগ। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের এমন একজন নেতা, এমন একজন চিন্তাবিদ যাকে ছাড়া বাংলাদেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। যে শহীদ জিয়াকে সম্মান করে না সে আসলে ফ্যাসিবাদের দালাল। যারা তাকে মানে না তাদের বাংলাদেশে থাকার যোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সব রাজনৈতিক দল, এমনকি তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ) উন্মোচন করেছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম। প্রথম জন্ম পিতা মাওলানা ভাসানী এবং দ্বিতীয় জন্ম পিতা জিয়াউর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *